কোভিড ভ্যাক্সিন নিয়ে অনেকের মাঝেই বেশ কিছু প্রশ্ন থাকে। কিন্তুসেগুলোর সারসংক্ষেপ নিয়েই আজকের আলোচনা।
১. টিকার নামঃ কোভিশিল্ড( Astrazeneca)
দেশঃ ইংল্যান্ড
সালঃ ২০২১
ডোজঃ ২টি
দেওয়ার স্থানঃ হাতের বাহুতে( মাংশে)
২ ডোজের মাঝের বিরতিঃ ৪ সপ্তাহ থেকে ১২ সপ্তাহ
কারা দিতে পারবেঃ ১৮ বছর বয়স থেকে।
গর্ভাবস্থায়ঃ নিরাপদ। ১৪-৩৩ সপ্তাহের মাঝে দিতে হবে।এর আগে নয়।
ল্যাক্টেটিং মায়ের জন্যঃ নিরাপদ
কার্যকারীতাঃ ৬০-৮৬%
২. টিকার নামঃ ফাইজার( Pfizer)
দেশঃ জার্মানী
সালঃ ২০২১
ডোজঃ ২টি
২ ডোজের মাঝের বিরতিঃ ৩ সপ্তাহ বা ২১ দিন
দেওয়ার স্থানঃ হাতের বাহুতে( মাংশে)
কারা দিতে পারবেঃ ১২ বছর বয়স থেকে(কোভিড নেগেটিভ থাকলে)
গর্ভাবস্থায়ঃ নিরাপদ। ১৪-৩৩ সপ্তাহের মাঝে দিতে হবে। এর আগে নয়।
ল্যাক্টেটিং মায়ের জন্যঃ নিরাপদ
কার্যকারিতাঃ ৭০-৯২%
৩. টিকার নাম: সিনোফার্ম ( Sinovac)
দেশঃ চীন
সালঃ ২০২১
ডোজঃ ২টি
২ ডোজের মাঝের বিরতিঃ ৩-৪ সপ্তাহ
দেওয়ার স্থানঃ হাতের বাহুতে (মাংশে)
কারা দিতে পারবেঃ ১৮ বছর বয়স থেকে( কোভিড নেগেটিভ থাকলে)
গর্ভাবস্থায়ঃ নিরাপদ।১৪-৩৩ সপ্তাহের মাঝে দিতে হবে।এর আগে নয়।
ল্যাক্টেটিং মায়ের জন্যঃ নিরাপদ
কার্যকারিতাঃ ৭৮ - ৯০%
৪. টিকার নামঃ মর্ডানা( Moderna)
দেশঃ আমেরিকা
সালঃ ২০২১
ডোজঃ ২টি
২ ডোজের মাঝের বিরতিঃ ৪ সপ্তাহ বা ২৮ দিন।
দেওয়ার স্থানঃ হাতের বাহুতে( মাংশে)
কারা দিতে পারবেঃ ১৮ বছর বয়স থেকে (কোভিড নেগেটিভ থাকলে)
গর্ভাবস্থায়ঃ নিরাপদ। ১৪ - ৩৩ সপ্তাহের মাঝে দিতে হবে। এর আগে নয়।
ল্যাক্টেটিং মায়ের জন্যঃ নিরাপদ
কার্যকারিতাঃ ৯০-৯৪%
টিকার সাইড ইফেক্টঃ
জ্বর,
বমি ভাব,
মাথাব্যাথা,
প্রচন্ড ক্লান্তিভাব,
মাংশে ব্যাথা,
টিকার জায়গায় ব্যাথা, লাল হয়ে যাওয়া,ফুলে যাওয়া হতে পারে।
এসব সমস্যায় ভয়ের কিছু নেই। প্যারাসিটামল জাতীয় ঔষধ সেবনে সাধারণত এগুলো ঠিক হয়ে যায়। তবে সমস্যা গুরুতর হলে চিকিৎসকের পরামর্শ নিবেন।
কিন্তু কখনোই টিকার জায়গায় গরম সেক দিবেন না বা গরম তেল জাতীয় কিছু মালিশ করবেন না। সবাই ভালো থাকবেন, সাবধানে থাকবেন।
লিখেছেন:
ডা. মাহফুজা হোসেন বীথি।
MBBS, FCGP,
Diploma in Asthma,
C- Card,
CCD( BIRDEM)
PGT( DHAKA MEDICAL COLLEGE & HOSPITAL)
DMU.