ঢাবির ভর্তি পরীক্ষা: শেষ মুহূর্তে যেভাবে প্রস্তুতি নেওয়া উচিত | Du admission preparation | TmA

 


ঢাবির ভর্তি পরীক্ষা: শেষ মুহূর্তে যেভাবে প্রস্তুতি নেওয়া উচিত | Du admission preparation | TmA

লেখা: Jawad Tahsin Snaha


"আগামী ১লা অক্টোবর ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের "ক ইউনিট" এর ভর্তি পরীক্ষা! সবার জন্য আগাম শুভকামনা রইলো। অনেক জুনিয়রই ইনবক্সে পরীক্ষা সম্পর্কে বিভিন্ন তথ্য জানতে চাচ্ছে। ভাবলাম সবাইকে আলাদাভাবে রিপ্লাই না করে FAQ (Frequently asked Question) টাইপ পোস্ট করে ফেলি। 


১. লাস্ট ৫ দিন কীভাবে পড়বো? 


Ans: কোশ্চেন ব্যাংককে বলা হয় "এডমিশান টেস্টের বাইবেল"। বিভিন্ন জায়গায় এডমিশান টেস্টে কোশ্চেন ব্যাংক থেকেই প্রায় হুবুহু কমন চলে আসে। আমাদের বারেও বিগত বছরের প্রশ্ন থেকে হুবুহু কমন পেয়েছিলাম। হুবুহু না আসলেও কনসেপ্ট যে কমন পড়বেই তা একরকম নিশ্চিতভাবে বলা যায়। তাই প্রথম সাজেশান থাকবে প্রশ্ন ব্যাংকটা ভালোভাবে একবার পুরোটা রিভিশান করে নেয়া। আর তারপরেও যদি সময় আর এনার্জি আর আগ্রহ থাকে, তাহলে ফিজিক্সের জন্য তপন স্যারের বই এর অনুশীলনীর MCQ, ম্যাথে কেতাব স্যারের বই এর অনুশীলনীর MCQ আর ক্যামিস্ট্রির জন্য হাজারী স্যারের MCQ গুলো পড়ে আমি সুফল পেয়েছিলাম। তোমরাও পড়তে পারো। 


২. রিটেনের জন্য কীভাবে পড়বো? 


Ans: আমি ব্যক্তিগতভাবে এটার জন্য আলাদা প্রস্তুতি নিই নি। কারণ আমি ছিলাম মূলত ইঞ্জিনিয়ারিং প্রিপারেশান নেয়া স্টুডেন্ট। তাই রিটেন নিয়ে খুব একটা ঝামেলায় পড়তে হয় নি। কারণ কোচিং সেন্টারে প্রচুর রিটেন নিয়ে মডেল টেস্ট দিয়েছি। আর ভার্সিটিগুলোর (ইঞ্জিনিয়ারিং না) রিটেনে আহামরী কঠিন প্রশ্ন সেভাবে কখনোই আসতে দেখি নি আমি। তাই সাজেস্ট করবো রিটেন নিয়ে প্যানিক না করে MCQ গুলোই ভালোভাবে পড়তে। রিটেন নিয়ে মাথাব্যথার কিছু নেই। কনসেপ্ট ক্লীয়ার থাকলে রিটেন পারা যাবেই। 


৩. এক্সাম হলে কোন সাব্জেক্ট আগে আন্সার করবো? 


Ans: মোট আন্সার করাই লাগে ৪ টা সাব্জেক্ট। ফিজিক্স, ক্যামিস্ট্রি আর ম্যাথ-বায়োলজির মধ্যে একটি আর অন্যটির জায়গায় চাইলে বাংলা/ইংরেজি দাগানো যায়। তো আমার সাজেশান থাকবে শুরুতে বায়োলজি/বাংলা/ইংরেজির মধ্যে কোনো একটা দাগিয়ে ফেলো। কারণ এগুলো অনেকটা Hit or Go টাইপ প্রশ্ন। মানে হয় তুমি প্রথম দেখাতেই পেরে যাবে, না হয় একেবারেই পারবে না। ম্যাথের প্রশ্ন যেমন হুট করে সূত্র মনে করে শেষে মিলিয়ে দিয়ে আন্সার বের করে আনা যায়, বায়োলজি/ইংরেজি/বাংলার ক্ষেত্রে ব্যাপারটা ওমন না। এগুলো বেশিরভাগ মুখস্ত নির্ভর উত্তর। ভাগ্য ভালো থাকলে আর কমন পড়ে গেলে মোটামোটি ৬/৭ মিনিটেই আন্সার করে ফেলা যায় এখান থেকে সব প্রশ্ন। এরপর দাগাতে বলবো ক্যামিস্ট্রি। কারণ একই। বেশিরভাগ মুখস্ত নির্ভর প্রশ্ন। হয় প্রথম দেখাতেই পেরে যাবে। নয়তো পারার সম্ভাবনা কম। তারপর বাকি থাকে ম্যাথ/ফিজিক্স। এই দুটার মধ্যে যেটা সোজা লাগে, সেটাই আগে আন্সার করে ফেলো। এই দুটো শুরুতেই আন্সার না করার সাজেশান থাকলো কারণ এই দুই সাব্জেক্ট প্রায় কঠিন আসে এবং প্রচুর টাইম কনজিউম করে। শুরুতেই ম্যাথ/ফিজিক্স আন্সার করতে গিয়ে টাইম যদি অনেকটুকু চলে যায়, তাহলে টাইমের চাপে ক্যামিস্ট্রি/বায়োলজির জানা উত্তরও ভুলে যাওয়ার চান্স থাকে। 


FAQ এখানেই শেষ করছি। তবে কিছু কথা বলে রাখিঃ 


১. আগামী ৫ দিন ক্যালকুলেটর না ধরার পরামর্শ থাকলো।


২. ঢাবির উত্তরপত্র মানে MCQ শিটটা প্রচন্ড পরিমান ট্রিকি। উত্তর দাগানোর আগে সাব্জেক্টকোড বা সাব্জেক্টের নাম উত্তরপত্রের সাথে মিলিয়ে নিও। অনেকেই ম্যাথের জায়গায় ভুলে OMR শিটে বায়োলোজি দাগিয়ে ফেলে। বা ফিজিক্সের জায়গায় ক্যামিস্ট্রি দাগিয়ে ফেলে। এমন ভুল যাতে না হয়। 


৩. যারা বাংলা আন্সার করার চিন্তা করছো, তারা ভুলেও রিটেনে শুরুতে বাংলা আন্সার করবে না। আমি নিজেও বাংলা আন্সার করেছিলাম। এবং রিটেনে শুরুতেই বাংলা আন্সার করায় শেষে টাইম সংকটে পড়ে গিয়েছিলাম এবং পরে ম্যাথে সহজ দুইটা পারা অংক ছেড়ে আসতে হয়েছিলো এবং এই আফসোস এখনো পুড়ায়। আমি চাইনা তোমরা একই ভুল করো।


সবার জন্য শুভকামনা।

দেখা হবে ক্যাম্পাসে।"


লেখক: শিক্ষার্থী, ফলিত রসায়ন বিভাগ,

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় 



tags: ঢাবির ভর্তি পরীক্ষা,  du admission test preparation, du admission 2021, tma,tmabd, শেষ মুহূর্তের প্রস্তুতি,