Written by : Tanvir Mahatab Abir
ইন্ডাস্ট্রিয়াল ট্যুরে চট্টগ্রামের চারটি কারখানা পরিদর্শন করেছে নোয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের পরিবেশ বিজ্ঞান ও দূর্যোগ ব্যবস্থাপনা বিভাগের চতুর্থ বর্ষের শিক্ষার্থীরা৷ গত ২৩ ও ২৪ মার্চ দুইদিনের সফরে চট্টগ্রাম অবস্থান করে তিন শিক্ষকসহ ৪৪ জনের দলটি।
সফরের প্রথমদিনে দলটি চট্টগ্রামের মদুনাঘাটে অবস্থিত শেখ রাসেল পানি শোধনাগার পরিদর্শন করে। বিশ্বব্যাংক, বাংলাদেশ সরকার ও চট্টগ্রাম ওয়াসার যৌথ অর্থায়নে প্রায় ১৮শ কোটি টাকা ব্যয়ে পানি শোধন প্রকল্পটির কাজ শুরু হয় ২০১৫ সালে। ২০১৮ সালের নভেম্বরে পরীক্ষামুলক ভাবে চালু হয় এ পানি শোধনাগারটি। ২০২০ সালে আনুষ্ঠানিক কার্যক্রমে যায় এটি। এখানে হালদা নদী থেকে পানি তুলে ৬টি ধাপে পানি পরিশোধন শেষে সরবরাহ লাইনে দেওয়া হয়। প্রতিদিন এই প্লান্টে ৯ কোটি লিটার পানি শোধন করা হয়। প্রকল্পটির বিভিন্ন ধাপ নোবিপ্রবির দলটিকে ঘুরে দেখানো হয়।
একইদিন বিকেলে দলটি রাউজানে অবস্থিত চট্টগ্রাম তাপ বিদ্যুৎ কেন্দ্র পরিদর্শনে যায়। বাংলাদেশ বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ড ১৯৯৩ সালে চীনের জাতীয় যন্ত্রপাতি ও সরঞ্জাম আমদানি ও রপ্তানি কর্পোরেশনের সহযোগিতায় বিদ্যুৎ কেন্দ্রটি নির্মাণ করে। এখানে দুটি ইউনিট এর উৎপাদন ক্ষমতা ১৫০ মেগাওয়াট করে। ফেণী গ্যাস ক্ষেত্র থেকে এই বিদ্যুৎ কেন্দ্রে গ্যাস সরবরাহ করা হয়। কঠোর নিরাপত্তা বলয়ে থাকা কেন্দ্রটি চট্টগ্রাম অঞ্চলের বিদ্যুত চাহিদা মেটাতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে আসছে। নোবিপ্রবির দলটি বিদ্যুত উৎপাদনের বিভিন্ন ধাপ ঘুরে দেখেন ও পরিবেশগত বিভিন্ন দিক পর্যবেক্ষণ করেন।
পরদিন দলটি কালুরঘাটে অবস্থিত বেজ টেক্সটাইল লিমিটেড কারখানা পরিদর্শনে যায়। প্রতিষ্ঠানটি মূলত পোলো টি-শার্ট, সুয়েট শার্ট, মহিলা ও শিশুদের পোশাক তৈরি করে থাকে। পরিবেশগত ভাবনায় প্রতিষ্ঠানটি ইটিপি প্লান্ট ব্যবহার করছে। নোবিপ্রবির পরিবেশ বিজ্ঞানের শিক্ষার্থীরা ইটিপি প্লান্টটি ঘুরে দেখে এবং প্রতিষ্ঠানটির সবুজায়নের প্রশংসা করে।
একইদিন বিকেলে দলটি উত্তর পতেঙ্গায় অবস্থিত দেশের একমাত্র ফসফেটিক সার কারখানা টিএসপি কমপ্লেক্স লিঃ কারখানা পরিদর্শন করে। কারখানাটি ১৯৭৪ সালে বাণিজ্যিক উৎপাদনে যায়। এটির বার্ষিক উত্পাদন ক্ষমতা এক লক্ষ মেট্রিক টন। নোবিপ্রবির শিক্ষার্থীরা কারখানায় কাঁচামাল সংগ্রহ থেকে শুরু করে উৎপাদনের পুরো প্রক্রিয়াটি ঘুরে দেখেন।
২০১৬-১৭ ব্যাচের শিক্ষার্থী দলটির সাথে এই সফরে ছিলেন পরিবেশ বিজ্ঞান ও দূর্যোগ ব্যবস্থাপনা বিভাগের চেয়ারম্যান ড. মো. মহিনুজ্জামান, সহকারী অধ্যাপক শাহরিয়ার মো. আরিফুর রহমান এবং সহকারী অধ্যাপক তনুজা বড়ুয়া।
লেখক : শিক্ষার্থী, পরিবেশ বিজ্ঞান ও দূর্যোগ ব্যবস্থাপনা বিভাগ, নোয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়৷