আমাকে অনুপ্রেরণা দেওয়ার কেউ ছিল না, তবু সফলতা এসেছে | TmA

 


লেখা: Md Shahidul Islam Shahed


আমাকে দেখুন! 

সম্ভবত আমিই একমাত্র এডমিশন প্রার্থী যার বাড়িতে উৎসাহ কিংবা সাহস জোগানোর মতো কেউ ছিলনা!!!

আমার পরিবারের কারোরই পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয় সম্পর্কে কোন ধারণাই নেই! 


কোন বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি পরীক্ষা কবে 


এমনকি, একটা সময় পর্যন্ত আমার মা প্রস্তুতি নেওয়ায় বাঁধা দিয়েছিল বিশ্ববিদ্যালয় বলে!

কিন্তু, আলহামদুলিল্লাহ আমি থেমে যাইনি!


 আল্লাহর উপর আমার পূর্ণ আস্থা ছিল যে একনিষ্ঠ সাধনা করলে তিনি কাউকে বঞ্চিত করেন না!


ভর্তি পরিক্ষার প্রস্তুতির জন্য আমি একটা টাকাও কাউকে টিউশন ফি দেইনি! সেক্ষেত্রে সোশ্যাল মিডিয়ার বড় ভাইদের অবদানটুকু ভুলবার মত নয়।। তারা তাদের সর্বোচ্চটাই আমাদেরকে ফ্রীতেই দিয়ে গেছেন। 


একটা সিটের আকাঙ্খা : ভাগ্য যেভাবে সাহায্য করেছিল আমায় 


আমি মনে করি বড় ভাইদের দিকনির্দেশনা এবং আমার লেগে থাকার মানসিকতাই আমাকে সফলতার পথ দেখিয়েছে। (আলহামদুলিল্লাহ) 


আলিমের রেজাল্ট পাওয়ার পরে একদিনের জন্যও আমি বই থেকে দূরে থাকি নি। মনে সবসময়ই একটা আগ্রহ অনুভব করতাম ভর্তি পরিক্ষায় ভালো কিছু করার!!


আলহামদুলিল্লাহ, গুচ্ছতে আমি আমার সেই পরিশ্রমের ফল পূর্ণরূপে পেয়েছি। (গুচ্ছ ফল ৭৯.২৫, পরবর্তীতে চট্রগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের ভর্তি পরীক্ষায় ৬৩৯তম)


যদিও এই সফলতায় আমি ও আমার কিছু বন্ধু-বান্ধব ছাড়া উচ্ছ্বসিত হওয়ার মত কেউই নেই!

যাইহোক, আসলে আমি এখানে যেটা বলতে চাই তা হচ্ছে, আমরা যারা বিভিন্ন সময়ে বিভিন্ন অজুহাত দেখিয়ে পড়াশোনা থেকে দূরে সরে যাই তাদের একটু চিন্তা করে দেখা দরকার আসলেই আমাদের অবস্থা এর থেকে ভালো কিনা! 

যদি ভালো হয় তাহলে আমাদের এই নিস্ক্রিয়তার আসলেই কোন মানে নেই!


সবশেষে, আমি সকলের নিকট দোয়া কামনা করছি যেন এই যাত্রায় পরিপূর্ণ সফলতা অর্জন করতে পারি! 

সকলের জন্য শুভকামনা।  


লেখক: ভর্তি পরীক্ষার্থী (২০২০-২১ শিক্ষাবর্ষ)