লেখা: TmA Team
আপনি এই লেখাটি পড়ছেন এর অর্থ আপনিও পরিচিত হস্তমৈথুন শব্দটার সাথে।
হয়ত আপনার প্রতিদিনের জীবনের সাথেই জড়িয়ে আছে শব্দটি।
পরিত্রাণ পেতে চাইছেন অথচ পারছেন না???
চলুন পুরো লেখাটি মনোযোগ দিয়ে পড়ি। আশা করি, হস্তমৈথুন থেকে মুক্তির পথ পাবেন। আপনি চাইলে এই বিষয়ে আমাদের ভিডিওটিও দেখে আসতে পারেন TmA এর ফেসবুক চ্যানেলের এই লিন্ক থেকে।
হস্তমৈথুন বা স্বমেহন একরূপ যৌনক্রিয়া হিসেবে বিবেচিত যাতে একজন ব্যক্তি কোনো সঙ্গী বা সঙ্গিনীর অংশগ্রহণ ছাড়াই যৌনসুখ অর্জনের চেষ্টা করে থাকে।
যৌনক্রিয়ায় প্রধানত হাতের সাহায্যে পুরুষ তার লিঙ্গ এবং নারী তার যোনী ঘর্ষণ করে বলে একে সচরাচর হস্তমৈথুন হিসেবেও উল্লেখ করা হয়ে থাকে।
হস্তমৈথুনে উপকার আছে?
হস্তমৈথুনের অপকারের কথাই সবসময় শুনে আসি আমরা। কিন্তু মেয়েদের হস্তমৈথুনে উপকার হওয়ার কথাও বলেন চিকিৎসকরা।
শরীরকে জানতে ও বুঝতে সাহায্য করে যা পরবর্তীতে সঙ্গীর সাথে মিলনে সহায়ক হয়।
মাসিক ঋতুস্রাবের ফলে তলপেটে যে ব্যথা হয় তা হস্তমৈথুনের ফলে কমিয়ে আনা যায় বলে মত দিয়েছেন চিকিৎসকরা।
অর্গাজম হলে জরায়ু মুখে জমে থাকা ফ্লুইড বা রস বের হয়ে এসে ইনফেকশনের ঝুঁকি কমায়।
প্রসবে সহায়ক হিসেবেও কাজ করে হস্তমৈথুন।
যৌনরোগ সংক্রমণেরও ঝুঁকি নেই এই কাজে।
তবে পুরুষের মতো অতিরিক্ত হস্তমৈথুন নারীদের জন্যও ক্ষতিকারক হতে পারে।
ক্ষতি কতটা জানেন তো?
খুব ছোট বয়স থেকে হস্তমৈথুনের অভ্যাস তৈরি হলে শরীরে টেস্টোস্টেরন হরমোনের নিঃসরণ মাত্রা কমে যেতে পারে ৷ এই হরমোন শরীরে কমতে থাকলে স্পার্ম বা বীর্য কম তৈরি হতে থাকে ৷
নিয়মিত হস্তমৈথুনের ফলে আপনার চিন্তায় প্রভাব পড়ে ৷ দিনরাত শরীর নিয়েই চিন্তার ফলে কাজে মন হারাবেন ৷
অকাল বীর্যপাত আরো একটি চিন্তার কারণ। এর ফলে স্বামী তার স্ত্রীকে সহবাসের সময় সন্তুষ্ট করতে অক্ষম হয় । এর পরিণতিতে বৈবাহিক সম্পর্ক বেশিদিন স্থায়ী হয় না ।
অকাল বীর্যপাত হলে বীর্যে শুক্রাণুর সংখ্যাও কমে যায় । গবেষণায় বেরিয়েছে, তখন বীর্যে শুক্রাণুর সংখ্যা হয় ২০ মিলিয়নের কম । যার ফলে সন্তান জন্মদানে ব্যর্থতা দেখা দেয় ।
স্মরণ শক্তি কমে যায় এবং চোখেরও ক্ষতি হয়।
সামান্য উত্তেজনায় যৌনাঙ্গ থেকে তরল পদার্থ বের হওয়া যাকে ইংরেজিতে বলা হয় Leakage of semen।
বীর্য তৈরি হয় অন্ডকোষে, তাই বেশি হস্তমৈথুনের ফলে অণ্ডকোষে বীর্যরস তৈরিতে ব্যঘাত ঘটতে পারে। বাড়তি বীর্য তৈরির চাপ সামলাতে হিমশিম খেতে পারে অণ্ডকোষ। ফলে অণ্ডথলিতে ব্যথা হওয়া অস্বাভাবিক নয়।
মস্তিষ্কে বীর্য তৈরির হরমোনের ঘাটতিও দেখা দিতে পারে। সেক্ষেত্রে মস্তিষ্কের ওপর বাড়তি চাপ পড়ে। ফলে মাথাব্যাথা সহ মস্তিষ্কের নানা সাময়িক ত্রুটি দেখা দিতে পারে ধারণা বিশেষজ্ঞদের।
যৌনাঙ্গে ব্যাথা ও আংশিক বিকৃতি ঘটতে পারে।
প্রসাবে জ্বালাপোড়া বেড়ে যায় খুব বেশিমাত্রায়।
বাঁচার উপায় আছে??
বন্ধুবান্ধবদের সঙ্গে বেশি মিশতে চেষ্টা করুন ৷
শরীরচর্চায় মন দিন ৷
প্রচুর পরিমাণ পানি খান ৷
যতটা সম্ভব নিজেকে কাজে ব্যস্ত রাখুন।
কখনোই একা থাকবেন না।
গোসলের সময় এমন ইচ্ছে জাগলে শুধু ঠাণ্ডা পানি ব্যবহার করুন এবং দ্রুত বাথরুম থেকে বেরিয়ে আসুন।
উপুর হয়ে শুয়ে ঘুমাবেন না।
মেডিটেশন করতে পারেন। যোগ ব্যায়াম করতে পারেন।
দৃষ্টি সংযত রাখুন৷
ফোনসেক্স এড়িয়ে চলুন।
গার্লফ্রেণ্ড বা প্রেমিকাদের সাথে শুয়ে শুয়ে, নির্জনে বসে প্রেমালাপ করবেন না।
পর্ণ দেখার সাইটগুলো ব্রাউজার থেকে ব্লক করে দিন।
ছোট ছোট টার্গেট সেট করুন। ধরুন প্রথম টার্গেট টানা দুইদিন হস্তমৈথুন করবেন না। দুইদিন না করে পারলে ধীরে ধীরে সময় বাড়াবেন।
ট্যাগ: হস্তমৈথুন, হস্ত মৈথন, হস্ত মৈথুনের চিকিৎসা, হস্ত মৈথুনের ক্ষতিকর প্রভাব, হস্ত মৈথুনের উপকারিতা, হস্ত মৈথুনের ক্ষতিকর প্রভাব থেকে বাচার উপায়,