আর রাহীকুল মাখতূম | Ar Rahikul Makhtum | TmA
লেখা: TmA Library Team
মহানবী (সা.)। এই মানুষটির পার্থিব জীবন নিয়েই সম্ভবত সবচেয়ে বেশি জানার আগ্রহ সারাবিশ্বব্যাপী৷ মাত্র ৬৩ বছর বেঁচে ছিলেন পৃথিবীতে। ৬১০ খ্রিস্টাব্দে আল্লাহর পক্ষ থেকে নবুওয়্যাত প্রাপ্তির পর বাকি জীবন সংগ্রামমুখর এক সময়ের মধ্য দিয়ে গিয়েছেন। এই সংগ্রাম আর লড়াই ছিল সত্য আর ন্যায়ের পক্ষে ইসলামকে সগৌরবে প্রতিষ্ঠা করার লড়াই।
রাসূল (সা:) এর আগমনের উদ্দেশ্য নিয়ে পবিত্র কুরআনের এক আয়াতে বলা হয়েছে,
‘তিনিই সেই সত্ত্বা যিনি তাঁর রসূলকে হেদায়েত ও দ্বীনে হক সহকারে পাঠিয়েছেন, যাতে আর সব দ্বীনের ওপর এ দ্বীনের হককে বিজয়ী করে তোলেন, এ বিষয়ে আল্লাহ তাআলা সাক্ষী হিসেবে যথেষ্ট।’
আর্-রাহীকুল মাখতূম। আরবী, উর্দূ, ইংরেজি এবং বাংলা ভাষায় সফিউর রহমান মোবারকপুরী রচিত নবী মুহাম্মদ (সা.) এর জীবনীগ্রন্হ। আধুনিক যুগে ইসলামের নবী মুহাম্মাদ সা: এর জীবনী নিয়ে আরবী ভাষায় লেখা অন্যতম সমাদৃত একটি সীরাত গ্রন্থ এটি।
এক নজরে
বইয়ের নাম: আর রাহিকুল মাখতূম
মূল ভাষা : আরবী
জনরা: জীবনী
লেখক: সফিউর রহমান মোবারকপুরী
বাংলা অনুবাদ: খাদিজা আখতার রেজায়ী
প্রথম প্রকাশ: ১৯৭৬
প্রকাশনী : রাবেতায়ে আলমী ইসলামী,মক্কা।
পৃষ্ঠা : ৫৫০
মূল্য : ১৮০ টাকা (বাংলাদেশ)
লেখকনামা
১৯৭৬ সালের মার্চ। পাকিস্তানের করাচিতে প্রথম মুসলিম সীরাত সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়। এই সম্মেলনে মূল ভূমিকায় ছিলেন সৌদি আরবের মক্কার রাবেতায়ে আলেমগণ। সম্মেলনের সমাপ্তি অধিবেশনে নবীজি (সা.) এর জীবনী রচনা বিষয়ক প্রতিযোগিতার ঘোষণা দেয়া হয়। পুরষ্কারও ঘোষণা করা হয় প্রথম পাঁচজনের জন্য যথাক্রমে ৫০, ৪০, ৩০, ২০ এবং ১০ হাজার সৌদি রিয়াল করে। এই প্রতিযোগিতায় অংশ নেন ভারতের আযমগড় জেলার ইসলামিক ইতিহাস লেখক সফিউর রহমান মোবারকপুরী।
১৯৪৩ সালে জন্ম নেওয়া বিখ্যাত এই হাদিসবেত্তা পেশাজীবনে প্রায় ২৮ বছর ভারতের বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে শিক্ষকতা করেছেন। সর্বশেষ তিনি মদিনার ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক হিসেবে নিয়োগ পান ১৯৮৮ সালে। ২০০৬ সালে গুণী এই আলেম মৃত্যুবরণ করেন।
১৯৭৮ সালের জুলাইয়ে করাচিতে প্রথম এশীয় ইসলামী সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়। সেখানেই সিরাতুন্নবী প্রতিযোগিতার ফলাফল ঘোষণা করা হয়। জমা পড়া ১১২৮ টি পান্ডুলিপি থেকে প্রতিযোগিতার জন্য ১৮৩টি পান্ডুলিপি মনোনীত করা নয়। তার মধ্যে থেকে প্রথম স্থান লাভ করে মাওলানা সফিউর রহমান মোবারকপুরীর পান্ডুলিপি।
কেন পড়া উচিত বইটি?
প্রতিযোগিতায় মূল বিচারক ছিলেন সৌদির তৎকালীন শিক্ষামন্ত্রী শেখ হাসান ইবনে আব্দুল্লাহ আল শেখ। প্রতিযোগিতায় আরও আটজন বিচারক ছিলেন, এঁরা সকলেই জেদ্দা বিশ্ববিদ্যালয়ের শরীয়ত বিষয়ক শিক্ষক, সীরাতুন্নবী ও ইসলামী ইতিহাস বিশেষজ্ঞ।
এজন্য বিজয়ী পাঁচটি গ্রন্থের বিশ্বস্ততা নিয়ে প্রশ্ন উঠার কোনো অবকাশ ছিল না। কারণ বিচারক সকলেই ছিলেন সংশ্লিষ্ঠ বিষয়ে অভিজ্ঞ ও জ্ঞানের অধিকারী।
এ গ্রন্থটি মূলতঃ সীরাত এর ওপর রচিত অতীতের শত শত গ্রন্থের মৌলিক ও নির্ভরযোগ্য উপাদানের সমন্বয়ে গঠিত। এক কথায় সীরাত সংক্রান্ত বিশাল সংগ্রহশালার একটি সংকলন গ্রন্থ।
৫৫০ পৃষ্ঠার কলেবরের এই গ্রন্থে মহানবী (সা.) এর সমগ্র জীবন নিয়েই বিস্তারিত আলোচনা করা হয়েছে৷ আলোচিত হয়েছে নবীজির জন্ম পূর্ব আরবের অবস্হা নিয়েও৷ মূল ছয়টি অধ্যায়ে ভাগ করে সেগুলোকে আবার ছোট ছোট অংশে ভাগ করে বিস্তারিত বর্ণনা দেয়ার চেষ্ঠা ছিল পুরো গ্রন্থজুড়েই। প্রতিটি পাতায় তথ্যসূত্র সংযোজন গ্রন্থটির তথ্যের বিভ্রান্তি দূর করার সফল প্রয়াস বলে বিবেচিত হয়েছে।
চলুন, তাহলে পড়া যাক সেই বই।
TmA রেটিং!
বইটি পড়তে চান?
মূল বইটি ক্রয়ের লিংক:
>> অ্যামাজন : এখানে।
>> রকমারি (অনুবাদ) : এখানে।
>> বাংলা অনুবাদ ডাউনলোড লিংক :
কেমন লাগলো বইটি পড়ে? এই বইটি সম্পর্কে আপনার যে কোনো মতামত আমাদের জানাতে পারেন ফেসবুকে মেসেজ দিয়ে।
আরো রিভিউ: আল আকসা মসজিদের ইতিকথা ।
ট্যাগ: আর রাহীকুল মাখতূম, ar rahikul makhtum, ar rahikul makhtum pdf, islamic history bangla pdf, আর রাহীকুল মাখতূম বাংলা ডাউনলোড, tma, tmabd,