গুচ্ছ পরীক্ষায় কোন বিশ্ববিদ্যালয়ে কীভাবে যাবেন? | GST admission centre | TmA
২০ টি বিশ্ববিদ্যালয়ে সমন্বয়ে অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে গুচ্ছ ভর্তি পরীক্ষা। এক শহর থেকে আরেক শহরে যাওয়ার ভোগান্তি ও সময় লাগবে এই কার্যক্রম হাতে নেওয়া হলেও অতিরিক্ত পরীক্ষার্থীর চাপে পছন্দের কেন্দ্রে অনেকেই পরীক্ষা দিতে পারেন না। সেক্ষেত্রে দূরের শহরের কেন্দ্রে গিয়েই পরীক্ষায় বসতে হয় অনেক পরীক্ষার্থীকে। এই লেখায় তাই কোন বিশ্ববিদ্যালয়ে কীভাবে যাবেন তার দিক নির্দেশনা দেওয়া হচ্ছে।
শুরুতেই ২৮ টি কেন্দ্রের নাম জেনে নেওয়া যাক৷
১. ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়, কুষ্টিয়া
২. শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়, ৩. খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়,
৪. হাজী মোহাম্মদ দানেশ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়, দিনাজপুর
৫. মাওলানা ভাসানী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়, টাঙ্গাইল
৬. নোয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়,
৭. কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়,
৮. জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলাম বিশ্ববিদ্যালয়,
৯. যশোর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়,
১০. বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়,
১১. পাবনা বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়,
১২. বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়,
১৩. বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়,
১৪. রাঙামাটি বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়,
১৫. বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ডিজিটাল ইউনিভার্সিটি,
১৬. শেখ হাসিনা বিশ্ববিদ্যালয়, নেত্রোকেনা।
১৭. বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন্নেছা মুজিব বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়, জামালপুর
১৮. জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়, ঢাকা।
১৯. বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়, ময়মনসিংহ।
২০. রবীন্দ্র বিশ্ববিদ্যালয়
২১. বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়, গাজীপুর।
২২. শেরে বাংলা কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়, ঢাকা
২৩. চুয়েট, চট্টগ্রাম
২৪. কুয়েট, খুলনা
২৫. রুয়েট, রাজশাহী
২৬. ঢাকা বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়, গাজীপুর
২৭. চট্টগ্রাম ভেটেরিনারি ও এনিমেল সায়েন্স বিশ্ববিদ্যালয়,
২৮. সিলেট কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়
১. নোয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়
প্রথমে দেখি কিভাবে ক্যাম্পাস এ আসা যায়,
(সোনাপুর থেকে ক্যাম্পাস ৪ কিমি দূরত্ব রিক্সায় ৩০ টাকা, অটোতে একজন ১০ টাকা, বাসে একজন ৫ টাকা ভাড়া। অতিরিক্ত ভাড়া দিয়ে আপনারা সাধারন শিক্ষার্থীদের বিপদে ফেলবেন না।)
১. ঢাকা থেকে: ঢাকা থেকে প্রতিদিন সকাল ৬ টা থেকে রাত ১০:০০ পর্যন্ত প্রতি আধা ঘন্টা পরপর সোনাপুর, নোয়াখালীর উদ্দেশ্যে বাস ছাড়ে। সাধারণত ৪/৫ ঘন্টা লাগে সোনাপুর পৌছাতে।
ঢাকার টিটিপাড়া, সায়েদাবাদ, বাড্ডা, টংগী, ঝিগাতলা, চিটাগাং রোড, শনিরআখড়া থেকে বাস ছাড়ে।ভাড়া ঃ৩৫০ নন এসি ৪৫০/৫০০ এসি
বাসের নাম- , একুশে, এশিয়া, হিমাচল, মুনলাইন, ।এছাড়া রয়েল কোচ,ঢাকা এক্সপ্রেস, ইকোনো, জোনাকি তে ঢাকা থেকে চৌমুহনী চৌরাস্তা পর্যন্ত আসতে পারবে। তারপর cng or bus এ সোনাপুর/মাইজদি আসতে হবে।
ট্রেনেও আসতে পারেন প্রতিদিন (বুধবার বন্ধ) দুপুর ৩/৪ টায় কমলাপুর থেকে উপকূল এক্সপ্রেস সরাসরি নোয়াখালীর উদ্দেশ্যে ছেড়ে আসে। ৭/৮ ঘন্টা সময় লাগে।ভাড়া-শোভন-২৩০,শোভন চেয়ার ২৭০
২. চট্টগ্রাম থেকে: চট্টগ্রাম থেকে প্রতিদিন সকাল ৬:০০ থেকে রাত ৭/৮ পর্যন্ত প্রতি আধা ঘন্টা পরপর সোনাপুরের আসার জন্য বাস ছেড়ে আসে। ৫/৬ ঘন্টা সময় লাগে পৌছাতে।
চট্টগ্রামের অলংকার মোড়, BRTC, কদমতলি, AK Khan থেকে বাসগুলো ছেড়ে আসে।
বাসের নাম: বাধন ও রেসালাহ।
এছাড়া শাহী নামে একটি বাস ছাড়ে যা লক্ষীপুর যায়। ঐ বাসে করে চৌমূহনী চৌরাস্তায় নেমে, সুগন্ধা, আলামিন বা CNG করে সোনাপুর আসা যায়।
৩. খুলনা থেকে: খুলনা রয়েল মোড় থেকে রোহান ও কমফোর্ট নামে দুইটা বাস চৌমূহনী চৌরাস্তা পর্যন্ত সরাসরি আসে। সকাল ৫:৩০ টায় ছেড়ে আসে, পৌছাতে ১২/১৩ ঘন্টা লাগে। তারপর বাস বা CNG করে সোনাপুর আসা যাবে।
এছাড়া খুলনা, যশোর, সাতক্ষিরা, বাগেরহাট থেকে সরাসরি ঢাকা এসে তারপর ঢাকা থেকে সরাসরি সোনাপুর আসতে পারেন।
৪. ময়মনসিংহ থেকে: ময়মনসিংহ থেকে সরাসরি কোন বাস বা ট্রেন নাই, তবে ময়মনসিংহ থেকে কিছু বাস সরাসরি চিটাগাং যায়, যেমন- সৌদিয়া, ইউনাইটেড, রয়েল যা থানা ঘাট থেকে রাতে ছাড়ে। এই বাসে করে ফেনী, মহীপাল নামতে হবে। তারপর সুগন্ধা বা আলামিন বাসে করে সোনাপুর আসতে পারবেন।
এছাড়া ময়মনসিংহ থেকে বিজয় নামে একটি ট্রেন আছে যা রাত ৮:০০টায় সরাসরি চট্টগ্রাম এর দিকে ছেড়ে আসে। ঐ ট্রেনে আপনি লাকসাম নামতে পারেন। তারপর উপকূল বাসে সরাসরি সোনাপুর আসতে পারবেন।
৫. কুমিল্লা থেকে: কুমিল্লা থেকে সরাসরি উপকূল বাসে করে সোনাপুর আসা যায়, ৩/৪ ঘন্টা সময় লাগে।
এছাড়া উপকূল এক্সপ্রেস ট্রেনে সরাসরি সোনাপুর আসতে পারবেন।
৬. ফেনী থেকে: ফেনী, মহীপাল থেকে সকাল ৭:০০টা থেকে রাত ৭/৮ টা পর্যন্ত আলামিন এবং সুগন্ধা বাস সোনাপুর এর উদ্দেশ্যে ছেড়ে আসে, ২/৩ ঘন্টা সময় লাগে আসতে।
৭. লক্ষীপুর থেকে: লক্ষীপুর চৌরাস্তা ও ঝুমুর হল এর সামনে থেকে আনন্দ ও আধুনিক নামে ২টা বাস প্রতিদিন সকাল ৭টা থেকে রাত ৮/৯ পর্যন্ত সোনাপুর এর দিকে ছেড়ে আসে, ২/৩ ঘন্টা সময় লাগে আসতে।
৮. বরিশাল থেকে: বরিশাল থেকে লঞ্চ বা সী ট্রাকে সরাসরি লক্ষীপুরের মনু চৌধুরী ঘাট নেমে CNG করে লক্ষীপুর চৌরাস্তা এসে আনন্দ বা আধুনিক বাসে সোনাপুর আসা যায়। তিনটা লঞ্চ আছে।
৯. সিলেট থেকে: সিলেট থেকে সরাসরি নোয়াখালী, সোনাপুর এর উদ্দেশ্যে BRTC, সাগরীকা পরিবহনের একটা বাস আছে। ৯/১০ ঘন্টা সময় লাগে।
এছাড়া সিলেট থেকে চট্টগ্রাম এর যেকোন বাসে আসলে, ফেনী মহীপালে নামতে হবে। তারপর সুগন্ধা বা আলামিন বাসে সোনাপুর আসা যায়। অথবা সিলেট থেকে সরাসরি ঢাকা এসে, তারপর সোনাপুরের গাড়িতে আসা যায়।
ট্রেনে সরাসরি ঢাকা এসে (বিমানবন্দর ষ্টেশন) উপকূল এক্সপ্রেস এ সোনাপুর আসা যায়। অথবা সরাসরি সিলেট-চট্টগ্রাম ট্রেন লাকসাম নেমে উপকূল বাসে সোনাপুর আসা যায়।
এছাড়া রাজশাহী ও পাবনার কিছু বাস সরাসরি লক্ষীপুর যায়। ঐ বাসে করে চৌমূহনী, চৌরাস্তায় নেমে আলামিন বা সুগন্ধা অথবা CNG করে সোনাপুর আসত পারবেন।
১০.রাজশাহী থেকে আকিব,সৌখিন বাসগুলো সরাসরি নোয়াখালী তে আসে।
আর আপনি যেখানেই থাকেন না কেনো আপনি ঢাকা এসে সরাসরি সোনাপুরের বাসে চড়ে আসতে পারেন অথবা চট্টগ্রামের বাসে চড়ে আপনি ফেনী মহীপাল নেমে সুগন্ধা বা আলামিন বাসে সোনাপুর আসতে পারবেন।
- নাইমুল ইসলাম খান
২. কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়
ঢাকা থেকে যারা যাবেন তারা কোটবাড়ি বিশ্বরোডে নামতে হবে বাস থেকে। চালককে আগে এ ব্যাপারে জিজ্ঞেস করে নিতে হবে। কারণ অনেক বাস শাসনগাছা রুটেও যায়। ওই পথে গেলে শহরে ঢুকে যাবে বাস। বিশ্ববিদ্যালয় শহরে নয়।কোটবাড়ি
বিশ্বরোড নেমে সিএনজিতে করে ভার্সিটি তে
যেতে পারবেন। তবে যদি শাসনগাছায় নামেন তাহলে সিএনজি /অটোতে কান্দিরপাড় যেতে হবে। ওখান থেকে অটোতে করে টমছমব্রিজ যাবেন। সেখান থেকে সরাসরি সিএনজি
তে ভার্সিটি /কোটবাড়ি যাওয়া যাবে।
পর্যায়ক্রমে অন্য বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে যাওয়ার সহজ দিক নির্দেশনা এই পোস্টে আপডেট করা হবে।
tags: কোন বিশ্ববিদ্যালয়ে কিভাবে যাবেন,gst exam centre,নোবিপ্রবি,কুবি,শাবিপ্রবি,হাবিপ্রবি,বেরোবি,জাককানইবি,বশেমুরবিপ্রবি,tna,tmabd,কোন কেন্দ্রে কিভাবে যাবেন,ভর্তি পরীক্ষায় কোন কেন্দ্রে কিভাবে যাবেন,