লেখা: TmA Library Team
ফিলিস্তিনের পূর্ব জেরুজালেমে অবস্থিত পবিত্র স্থাপনা আল-আকসা মসজিদ। ইসলামে অসংখ্য নবী-রাসূলের দাওয়াতের কেন্দ্র ছিল বলে দুনিয়ার মুসলিমদের কাছে এই মসজিদ যেমন প্রিয় তেমনি অত্যন্ত মর্যাদাপূর্ণ বলে বিবেচিত হয়ে আসছে। এই মসজিদের ইতিহাস, মসজিদ ঘিরে ফিলিস্তিন-ইসরায়েল দ্বন্দ্ব এবং পারিপার্শ্বিক নানান ঘটনার বিশ্লেষণ উঠে এসেছে 'আল আকসা মসজিদের ইতিকথা' বইটিতে৷
এক নজরে
বইয়ের নাম: আল আকসা মসজিদের ইতিকথা
মূল ভাষা : বাংলা
জনরা: ইতিহাস
লেখক: এ. এন. এম. সিরাজুল ইসলাম
প্রথম প্রকাশ: এপ্রিল, ১৯৯২
প্রকাশনী : বাংলাদেশ ইসলামিক সেন্টার, ঢাকা।
পৃষ্ঠা : ১১০
মূল্য : ৮০ টাকা (১৯৯২ সাল)
লেখকনামা
এ. এন. এম. সিরাজুল ইসলাম : লেখক এবং প্রাবন্ধিক হিসেবে আশির দশক থেকে বেশ জনপ্রিয় তিনি। বিশেষ করে ইসলামের ইতিহাস ও ইসলামী মাসলা মাসায়েল বিষয়ক বইয়ের জন্য তিনি বিশেষ খ্যাতি অর্জন করেন।
আল আকসা নিয়ে লেখা এই বইটি ছাড়াও তার উল্লেখযোগ্য অন্যান্য বইগুলো হলো, মদিনা মুনাওয়ারার ইতিকথা, রমযানের তিরিশ শিক্ষা, ইসলামের সামাজিক আচরণ, মদিনা শরীফের ইতিকথা ইত্যাদি।
কেন পড়া উচিত বইটি?
মোট ২৪ টি অধ্যায়ে সাজানো হয়েছে বইটিকে। বইয়ের নাম আল আকসা মসজিদের ইতিকথা হলেও বইটির ব্যাপ্তি ছড়িয়েছে নানান বিষয়ে। জেরুজালেমের ভৌগোলিক অবস্থান থেকে শুরু করে আবহাওয়া, জনসংখ্যা, নানান নাম আর প্রাচীন এই শহরের সুদীর্ঘ ইতিহাস উঠে এসেছে বিভিন্ন অধ্যায়ে।
এসেছে ইসরায়েল রাষ্ট্রের উত্থান, ইহুদী জাতির ইতিহাস এবং জেরুজালেমের উপর তাদের কর্তৃত্বের খতিয়ান।
আল আকসার ইতিহাস বর্ণনা দিতে গিয়ে লেখক তুলে এনেছের মসজিদে সাখরার ইতিহাস, রাসূল (সাঃ) এর মেরাজের ঘটনাবলি, আল আকসার প্রথম কিবলা হওয়ার ঘটনা, নানান সময়ে ইহুদীদের আল আকসায় আক্রমণসহ পারিপার্শ্বিক নানান ঘটনা।
বইটি পড়তে গিয়ে গুরুত্বপূর্ণ অনেক তথ্যই জানতে পারবেন। নব্বই দশকের শুরুর দিকে লেখা হিসেবে স্বাভাবিকভাবেই বইটিতে আপডেট অনেক তথ্যই পাবেন না।
বইটি পড়তে গিয়ে অপ্রাসঙ্গিক অনেক তথ্য বা ঘটনাই সামনে আসবে যেগুলো পড়ার পর হয়তো বইটি শেষ করার খেই হারিয়ে ফেলতে পারেন। তবে ধৈর্যের সাথে পড়লে আশা করি সময়টা অপচয় হবে না।
চলুন, তাহলে পড়া যাক সেই বই।
TmA রেটিং!
৬/১০
বইটি পড়তে চান?
মূল বইটি ক্রয়ের লিংক:
>> রকমারি
>> বাংলা অনুবাদ ডাউনলোড লিংক : TmA Library
কেমন লাগলো বইটি পড়ে? কী সেই সিক্রেট? এই বইটি সম্পর্কে আপনার যে কোনো মতামত আমাদের জানাতে পারেন ফেসবুকে মেসেজ দিয়ে।
আরো রিভিউ: থিংক অ্যান্ড গ্রো রিচ।
এই বিভাগের লেখা নিয়মিত পেতে যুক্ত থাকুন আমাদের ফেসবুক পেইজে।