জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের ডিগ্রী ভর্তি : যা জানা জরুরি | TmA



জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ে "স্নাতক(পাস)" কোর্স তথা "ডিগ্রী(পাস)" কোর্সই মূলত ডিগ্রী নামে পরিচিত।প্রচলিত স্নাতক ডিগ্রীগুলোর মধ্যে "সাধারন স্নাতক ডিগ্রী" হলো এই "পাস ডিগ্রী"। বর্তমানে বাংলাদেশের জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ে ও উন্মুক্ত বিশ্ববিদ্যালয়ে "পাস ডিগ্রী" পড়ানো হয়!  


জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের ডিগ্রী বা পাসকোর্স ৩ বছর মেয়াদী। এতে BSc(Pass), BBS(Pass), BSS(Pass),BA(Pass) ইত্যাদি পড়ানো হয়; এছাড়াও বিশেষায়িত ভাবে B Sports (Pass), B Music(Pass), Home Economics (Pass) প্রোগ্রাম গুলো রয়েছে।


| ডিগ্রী ভর্তির আবেদন করবেন যেভাবে 


এদের মধ্যে বিজ্ঞান বিভাগের শিক্ষার্থীদের জন্য BSc, বাণিজ্য বিভাগের শিক্ষার্থীদের জন্য BBS, ও মানবিকের জন্য BSS & BA প্রোগ্রাম গুলো রয়েছে।


ডিগ্রীতে আগে সেশনজট থাকলেও ২০১৮-১৯ শিক্ষাবর্ষ থেকে আর সেশনজট নেই।


ডিগ্রিতে এক বছরে ৭ টি করে বিষয় পড়তে হবে সবাইকে। এর মধ্যে ৩ টি বিষয় সবার জন্য আবশ্যিক, যথাক্রমে :

প্রথম বর্ষে - স্বাধীন বাংলাদেশের অভ্যূদয়ের ইতিহাস ; > ২য় বর্ষে - বাংলা ভাষা; > ৩য় বর্ষে - ইংরেজি।

বাকী তিনটি বিষয় একজন তার বিভাগ অনুযায়ী বরাদ্ধ বিষয় হতে পছন্দ অনুযায়ী (রেগুলেশন রয়েছে) ৩ টি বিষয় নির্বাচন করবে, যা হতে প্রতি বর্ষে ২ টি করে পত্র থাকবে।


ডিগ্রীতে যারা স্নাতক সম্পন্ন করেছে তাদের জন্য চাকরির বাজার কিছুটা সংকীর্ণ হতে পারে। আপনি যদি ডিগ্রীর পর দুই বছর মেয়াদি মাস্টার্সটাও শেষ করতে পারেন তবে চাকরির বাজারে কোনো সমস্যায় পড়বেন না। এরপরই আপনি সব জায়গাই সমানে সমান সুযোগ পাবেন। সরকারি চাকরি গুলোতে স্নাতক/স্নাতকোত্তর ডিগ্রী থাকলেই চলে, সে ক্ষেত্রে এ জায়গাই আপনি যেতে পারবেন, বিসিএসও দিতে পারবেন মাস্টার্স শেষ করার পর।


ডিগ্রীর পর আপনাকে ২ বছর মাস্টার্স করতে হবে, যার প্রথমটি হলো মাস্টার্স প্রিলি বা প্রথম পর্ব, আর পরে মাস্টার্স ফাইনাল। অর্থাৎ স্নাতক(পাস) - ৩ বছর + মাস্টার্স প্রিলি - ১ বছর + মাস্টার্স ফাইনাল ১ বছর = ০৫ বছর। 




পরামর্শ 

১। গুচ্ছ ভর্তি প্রক্রিয়া যেভাবে হবে। 

২। ঢাবির ভর্তি পরীক্ষার জন্য শেষ মুহূর্তে কীভাবে প্রস্তুতি নেবেন? 

৩। কত পেলে চান্স মিলবে মেডিকেলে? 

৪৷ একটা সিটের আকাঙ্খা : ভাগ্য যেভাবে সাহায্য করেছিল আমায়