বছরঘুরে আসা জন্মদিনের ক্ষণটাকে কমবেশি সকলেই স্মরণীয় করে রাখার চেষ্টা করে। হৈ-হুল্লোড়, গিফট দেওয়া নেওয়া কিংবা ভরপুর খাওয়া দাওয়ায় এই দিনটি উদযাপন করা হয়। কিন্তু ইসলাম ধর্মে জন্মদিন পালন বিষয়ে কী বলা হয়েছে?
কেক কেটে জন্মদিন পালনের উদ্ভব হয় পশ্চিমা দেশগুলোতে। আর জন্মদিনের সূচনা হয় ফিরাউন থেকে।ইসলামে এর কোনো ভিত্তি নেই।
| আত্মহত্যা : হাদিসের বাণীতে ভয়াবহতার বয়ান
জন্মদিন পালনের গুরুত্ব যদি ইসলামে থাকত, তা হলে সাহাবায়ে কেরাম (রা.), তাবেয়ি, তাবে তাবেইনদের থেকে এটি পালনের প্রমাণ মিলত। তারা জন্মদিন পালন করবেন তো দূরের কথা, কারও কারও জন্মসন জানা গেলেও কোন মাসের কোন তারিখে জন্মগ্রহণ করেছেন তা অবধি জানা যায়নি।
এমনকি আমাদের প্রিয়নবী হযরত মুহাম্মদ (সা.) রবিউল আওয়াল মাসের কত তারিখে জন্মগ্রহণ করেছেন এটা নিয়েও রয়েছে মতভেদ।
রাসূল (সা.) বলেন, ‘সে ব্যক্তি আমার দলভুক্ত নয়, যে আমাদের ছেড়ে অন্য কোনো জাতির সাদৃশ্য অবলম্বন করে। তোমরা ইহুদিদের সাদৃশ্য অবলম্বন কর না, খ্রিস্টানদেরও সাদৃশ্য অবলম্বন কর না।’ (সিলসিলাহ সহিহা : ২১৯৪)
| স্বপ্নে কী এমন ভয়ংকর শাস্তি দেখেছিলেন রাসূল (সা.)?
ইসলামে যেহেতু জন্ম-মৃত্যু দিবস পালন করার অস্তিত্ব নেই, সেহেতু অমুসলিমদের সাদৃশ্য অবলম্বনে জন্মদিবস পালন করার সুযোগ নাই।
সুতরাং এ উপলক্ষে কাউকে উইশ করা, শুভেচ্ছা বার্তা পাঠানো, গিফট দেয়া, কেক কাটা, মোমবাতি জ্বালানো বা ফুঁ দিয়ে নিভানো, বিশেষ খাওয়া-দাওয়ার আয়োজন করা, জন্ম দিনের পার্টি করা সবই হারাম।
সহিহ মুসলিমে আবু কাতাদা (রাঃ) থেকে বর্ণিত হয়েছে যে, রাসূল (সাঃ)-কে সোমবারে রোযা রাখা সম্পর্কে জিজ্ঞেস করা হলে তিনি বলেন: “এটি এমন দিন যে দিনে আমি জন্মগ্রহণ করেছি এবং যেদিন আমার ওপর ওহি নাযিল হয়”।
ইমাম তিরমিযি (রহঃ) আবু হুরায়রা (রাঃ) থেকে বর্ণনা করেন যে, রাসূল (সাঃ) বলেন: “প্রতি সোমবারে ও বৃহস্পতিবারে আমলনামা পেশ করা হয়। তাই আমি পছন্দ করি আমি রোযা রেখেছি এমতাবস্থায় যেন আমার আমলনামা উপস্থাপন করা হয়”
রাসুল সাঃ এর প্রতি সোমবারে রোযা রাখার অনেক কারন রয়েছে। শুধু এই দিনে জন্মগ্রহণ করেছেন বলেই রোযা রাখেন নি।
এই লেখাগুলো মিস করবেন না যেন!
tags: tmabd, tma, জন্মদিন পালন করা কি হারাম,ইসলামে জন্মদিন পালন করা জায়েজ,জন্মদিনে রোযা রাখা,জন্মদিন পালন কি বিদআত,জন্মদিন পালন করা নিয়ে হাদিস,জন্মদিন উপলক্ষে কেক কাটা কি জায়েজ,